সবাই বলে ঝলসে গেছে পৃথিবীটা শুকিয়ে গেছে ফুল ফল সব গাছে গাছে,
আর কি কভু ফুটবে না ফুল বৃক্ষশাখে হবে না বীজ অঙ্কুরিত মাটির নীচে?
সত্যি কি ভাই মরে গেছে বসুন্ধরা দগ্ধ বুকে কেবল পড়ে ছাইয়ের বোঝা?
নয়কো সত্যি এমন কথা বিন্দুমাত্র বিরাট বিপুল প্রাণকে মারা এতোই সোজা!
পৃথিবী-মা হন না বৃদ্ধা কোনো কালে যৌবন তাঁর অটুট থাকে অনন্ত কাল,
জন্ম দিয়ে ভরিয়ে তোলেন শূন্য ভাঁড়ার গল্প এ নয়, এটাই সত্যি সকাল-বিকাল ।
দস্যু যারা খতম করার মন্ত্র জানে তাদের চেষ্টা হয় না সফল কোনো কালে -
দুঃখ পীড়া যতই ধরা পান না মনে আনন্দে ফুল ভরিয়ে তোলেন ডালে ডালে ।
যুদ্ধখাদে জীবন যাদের কেটেই গেল হাতে পায়ে ক্ষতচিহ্নের আলিম্পনা,
রক্ত-ঝরা অন্ত্র হতে জীবন গড়ায় সেই কি তবে আসল সত্য জাঁহাপনা?
নিঠুর হাতে ছিঁড়ছে যারা স্নায়ুগুলো চাবুক মেরে করছে জখম সারা দেহ,
তাদের ইচ্ছে জয়ী হবে এটাই বিধান? “কক্ষনো না” হয়তো সেটা বলবে কেহ ।
আসুক দস্যু আসুক খুনি অস্ত্র হাতে রক্তরাঙা চক্ষু তুলে দেখুক শাসক -
বুটের নীচে যাক পিষে যাক হাজার জীবন কণ্ঠ তবু তুলবে উচ্চে শংকানাশক ।
ঝড়ের পরে শান্ত যেমন ধ্বস্ত ধরা নিজের ভিতর তৈরি করে ভবিষ্যপ্রাণ
গেয়ে ওঠে দোয়েল পাখি ভগ্ন শাখায় মিষ্টি সুরে থমকে থাকা আরব্ধ গান ।
সুরের বাঁশি বাজতে থাকে অন্ধকারে যুদ্ধক্ষেত্রে, পরিখাতে, যন্ত্রণাতে -
প্রবল শব্দে কাঁপন লাগায় হৃদয় মাঝে দিনদুপুরে সকাল-সাঁঝে গভীর রাতে ।
অত্যাচারীর পায়ের নীচে হয় না খতম কেউ পারে না ধরার এ প্রাণ ছিনিয়ে নিতে,
মানুষ হল বসুন্ধরার সৃষ্টিসেরা সেই তো পারে সব জুলুমের জবাব দিতে ।।
|